প্রকাশিত: Wed, Aug 23, 2023 11:52 PM
আপডেট: Mon, May 12, 2025 2:40 AM

[১]নির্বাচন কি ভারত-আমেরিকায় হবে তাদের মাথাব্যথা কেন: খালেকুজ্জামান

মুসবা আলিম তিন্নি: [২] বাসদের প্রতিষ্ঠাতা খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া প্রশ্ন তুলে বলেছেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আলোচনা করার সুযোগ কোথায়? তাদের দেশের নির্বাচনের সময় কি কেউ এদেশ থেকে গিয়ে পরামর্শ দিয়েছিলো? কোনো সার্বভৌম দেশেই আরেকটা দেশ থেকে গিয়ে নিজেদের মতামত দেয়া বা পরামর্শ করা একটি দেশের জাতীয় আত্মমর্যাদার জন্য ক্ষতিকর। 

[৩] আমাদের সময় ডটকম’কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে অন্যদেশের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে এতো ব্যস্ত হয়ে গেছে এটা আসলে স্পষ্ট যে তারা জাতীয় সম্মান, জাতীয় স্বার্থ এবং জাতীয় সার্বোভৌমত্ব রক্ষা করতে অপারগ এবং এরা এটাই প্রমাণ করছে যে তারা মুক্তিযুদ্ধো চেতনা ধারণ করে না একটি স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্বকে তারা গ্রাহ্য করে না এবং তারা জনগণের আশা আকাঙ্খাকে তোয়াক্কা করে না। এরা কেবলই চর দখলের লড়াইয়ে লিপ্ত আছে এবং গদি কেন্দ্রিক স্বার্থ সুবিধায় এতো বিভোর যে তারা দেশ কোথায়, জাতি কোথায় আমাদের আত্মসম্মান কোথায় কেনো কিছুই তারা খেয়াল করতে পারছে না। 

[৪] খালেকুজ্জামান বলেন, এই সমস্ত আলোচনা থেকে গোটা দেশবাসীর বিরত থাকা উচিত এবং যে রাজনৈতিক দলগুলো এসব কাজে লিপ্ত আছে তাদেরকে দেশের রাজনৈতিক ময়দান থেকে চিরতরে বিদায় দেয়া উচিত। এছাড়া এই জাতির মুক্তি হবে না।

[৫] নির্বাচনের আগে জঙ্গি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ও জনমনে ভীতির সঞ্চার করবে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জমিতে বীজ বপন করলে গাছ তো হবেই এই জঙ্গি সংগঠন এবং মৌলবাদ এগুলোর যে রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা এবং ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতিতে টিকে থাকা এবং মৌলবাদী গোষ্ঠিকে পক্ষে আনার একটা অপচেষ্টা হচ্ছে। বর্তমানে আমাদের দেশের ক্ষমতাসীনরা জনগণের শক্তিকে পরাস্ত করে নিজেদের শক্তিকেই সামনে আনার জন্য নানা কৌশল করে যাচ্ছে। এখানে উচিত ছিলো হিন্দুত্ববাদী বা মুসলিমত্বকে বাদ দিয়ে সেক্যুলারিজমকে সামনে আনা, ধর্ম নিরপেক্ষতার মাধ্যেমে জনগণের বিশ^াস অর্জন করা কিন্তু এরা তা করে না। বাংলাদেশের শাসকরাই এই অঙ্গসংগঠনগুলো তৈরি করে আর নিজেদের স্বার্থেই এগুলোকে সময় মতো ব্যবহার করে।

[৬] আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একাত্তর সালে ভারত আমাদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল, তাদের  সৈন্যরা রক্ত দিয়েছে, আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, ট্রেনিং দিয়েছে,তখন তো কেউ এটিকে অভ্যন্তরীণ হস্তক্ষেপ বলেনি ? এ প্রসঙ্গে খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ভারত তখন তাদের স্বার্থেই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো। ভারতের প্রধান প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে রাজনৈতিক এবং সামরিক দিক থেকে দুর্বল করার জন্য তখন ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো তবে ভারতের সাধারণ জনগণ তখন আমাদের পাশে ছিলো আর সেজন্যই শরণার্থীরা সেখানে থাকতে পেরেছিলো এজন্য আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞ থাকবো। তখন তো বাংলাদেশের সরকার প্রধান ছিলো বিদেশে তাহলে যুদ্ধ কে করেছিলো, এদেশের সাধারণ জনগণই তো যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো তাহলে এখানে কেনো এটা বলা হবে যে ভারত আমাদের দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, বিষয়টা তো আসলে তা না এগুলো আসলে আমাদের মতো লড়াকু একটা  জাতিকে অপমান করা ছাড়া আর কিছুই না। সম্পাদনা: রাশিদ